T-20 বিশ্বকাপে আফগানিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। তারা উগান্ডাকে 125 রানে হারিয়েছে। উগান্ডা প্রথমবার T-20 বিশ্বকাপে খেলছে।
আফগানিস্তানের জয়ে তিনজন ক্রিকেটারের অবদান বেশি। প্রথমে, দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান দুর্দান্ত ব্যাট করেন। গুরবাজ 45 বলে 76 রান করেন। জাদরান 46 বলে 70 রান করেন। তাদের দুজনের মোট রান 154, যা পুরুষদের T-20 বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। এই দুজনের কারণে আফগানিস্তান 183 রানে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
পরে, আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার ফজলহক ফারুকি অসামান্য বোলিং করেন। তিনি মাত্র 9 রান দিয়ে 5টি উইকেট নেন। এই পারফরম্যান্সের ফলে উগান্ডা মাত্র 16 ওভারে 58 রানে অলআউট হয়ে যায়।
ম্যাচের পর আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, “আমরা যেভাবে শুরু করতে চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই হয়েছে। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, মানসিকতাটাই আসল। গত কয়েক সপ্তাহে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ওপেনাররা যেভাবে শুরু করল এবং বোলাররা যেভাবে বোলিং করল – এটা একটা দারুণ দলগত প্রচেষ্টা।”
রশিদ খান নিজেও শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের আউট করেন। তিনি বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অত্যন্ত গর্বের বিষয়। শীর্ষস্থানীয় টি-টোয়েন্টি বোলার রশিদ আরও বলেন, এই দলের সৌন্দর্য হল আমাদের অনেক বিকল্প আছে। এটা অধিনায়ক হিসেবে আমার কাজকে সহজ করে তোলে।
পেসার ফারুকি দুবার হ্যাট-ট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন। যদিও তার ম্যাচের প্রথম বলে চার হয়, দ্বিতীয় বলে তিনি একটি দারুণ ইনসুইং বল করেন। সেই বল রোনক প্যাটেলের ব্যাটে লেগে উইকেট ভাঙ্গে। পরের বলে তিনি আরেকটি ইন-সুইঙার করে রজার মুকাসাকে এলবিডব্লিউ করেন।
ম্যাচের পর ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়ে ফারুকি হেসে বলেন, “আমি কয়েকবার হ্যাট-ট্রিক করতে পারিনি। এটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আবার সুযোগ পেলে, হ্যাট-ট্রিক করার চেষ্টা করব।” এরপর 13তম ওভারে ফিরে এসে ফারুকি আরও তিনটি উইকেট নেন।
প্রথমে ফারুকি রিয়াজাত আলি শাহকে স্লোয়ার বলে আউট করেন। এরপর অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা ফারুকিকে হিট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন।
আবার হ্যাট-ট্রিক হলো না, তবে ওভারের শেষ বলে ফারুকি পঞ্চম উইকেট নেন। তিনি বলেন, আমি বল উইকেটে মারার চেষ্টা করছিলাম। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট আমায় আরও উন্নত করতে এবং বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করেছে। এতো বড় বড় খেলোয়াড়দের সাথে খেলার ফলে চাপ সামলানো এবং ঠিক বোলিং করা শেখা যায়, এরকমই জানালেন ফারুকি। তিনি আইপিএলের আগের সিজনে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে খেলেছেন।
এর আগে, আফগানিস্তানের ওপেনাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। গুরবাজ ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মারেন। এরপর জাদরানও পিছিয়ে থাকেননি। ষষ্ঠ ওভারে দিনেশ নাকরানির বোলিংয়ে তিনি টানা চারটি চার মারেন।
প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই আফগানিস্তান প্রতি ওভারে 11 রানের হারে রান করেছে। গুরবাজ নবম ওভারে মাত্র 28 বলে পঞ্চাশে পৌঁছান এবং জাদরান 12তম ওভারে পঞ্চাশে পৌঁছান। উগান্ডার দুর্বল ফিল্ডিং তাদের সমস্যা আরও বাড়ায়। মনে হচ্ছিল এই জুটি 20 ওভার ব্যাট করবে। কিন্তু উগান্ডার বোলাররা লড়াই করে আফগানিস্তানকে দুশোর নিচে রাখে। আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
ক্রিকেটের বিষয় এরকম আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন সংবাদ সূত্র ওয়েবসাইটে।