প্যাকেটজাত খাবারের লেবেলে সাধারণত ‘বেস্ট বিফোর ডেট’ এবং ‘এক্সপায়রি ডেট’ দুটোই লেখা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, ‘বেস্ট বিফোর ডেট’ পেরিয়ে গেলে সেই খাবার ফেলে দেওয়া হয়। আর ‘এক্সপায়রি ডেট’ পার হলে তো অবশ্যই ডাস্টবিনে চলে যায়। কখনও ভেবে দেখেছেন এই ‘বেস্ট বিফোর ডেট’ আর ‘এক্সপায়রি ডেট’-এর মধ্যে পার্থক্য কী? ‘বেস্ট বিফোর ডেট’ মানে সেই নির্দিষ্ট তারিখের পর খাবারের গুণমান, স্বাদ বা সতেজতা আগের মতো থাকবে না, কিন্তু ‘এক্সপায়রি ডেট’ নির্দেশ করে যে এর পরে খাবারটি খেলে সেটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
তাই প্যাকেটজাত খাবার কেনার সময় লেবেল পড়া অত্যন্ত জরুরি। এতে বোঝা যায় সেই খাবারে কী কী উপাদান আছে এবং কোন তারিখ পর্যন্ত সেই খাবার গ্রহন করা নিরাপদ। কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এক্সপায়রি ডেট মানুষকে এটা বুঝতে সাহায্য করে।
FSSAI তাদের X অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছে, খাবার কেনার সময় সবসময় ম্যানুফেকচারিং ডেট, বেস্ট বিফোর ডেট এবং এক্সপায়রি ডেট দেখে নিন। ম্যানুফেকচারিং ডেট বলে দেয় কখন খাবারটি তৈরি ও প্যাকেজ করা হয়েছে, আর বেস্ট বিফোর ডেট বোঝায় কোন তারিখ পর্যন্ত খাবারটি নিখুঁত অবস্থায় থাকবে।
এর মানে হল, ধরুন একটি খাবার 1 মার্চ 2024-এ প্যাক করা হয়েছে এবং বেস্ট বিফোর ডেট 3 মাসের মধ্যে। তাহলে এই খাবার 1 জুন 2024-এর মধ্যে ব্যবহার করা উচিত। 1 জুন 2024 পর্যন্ত সেই খাবারের গুণমান, স্বাদ ও সতেজতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। তবে বেস্ট বিফোর ডেট পেরিয়ে গেলেও খাবারটি খাওয়া নিরাপদ। তবে সেই খাবারের স্বাদ, সতেজতা, সুগন্ধ বা পুষ্টি হারাতে পারে।
অন্যদিকে, এক্সপায়রি ডেট সেই সময়কে নির্দেশ করে যার পরে খাবারটি খাওয়া নিরাপদ নয়। বেস্ট বিফোর ডেট পেরিয়ে গেলেও খাবার খাওয়া যায়, কিন্তু এক্সপায়রি ডেট পেরিয়ে যাওয়া খাবার গ্রহন করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
FSSAI বলছে, যদি এক্সপায়রি ডেট 30 জুলাই 2024 হয়, তাহলে এই তারিখের পরে খাবারটি ব্যবহার করা নিরাপদ নয় এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তারা আরও যোগ করেছে, কখনোই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া খাবার খাবেন না, কারণ এটা খাওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
হেলথ ও লাইফস্টাইল সম্পর্কে এরকম আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন সংবাদ সূত্র ওয়েবসাইটে।